নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে হামলায় আহত সাংবাদিক দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি মো. কামরুল ইসলামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ হাওলাদার।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর আমার নাতি কামরুল ও রেজাউল প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ইন্দুরকানী থানায় মামলা করতে গেলে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক মামলা নেবে বলে তার কাছ থেকে কৌশলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। মামলা নেওয়ার জন্য সাংবাদিকরা সুপারিশ করলে বাদীর সামনে বসে সাংবাদিকদের মা ও বোনকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি মামলা না নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ঘোরাচ্ছেন। এ বিষয়ে আহতের পরিবার মঙ্গলবার ইন্দুরকানী বাজারে মানববন্ধন করতে চাইলে ওসি এনামুল হক মোবাইল ফোনে বাদী হাবিবুর রহমানকে হুমকি দেন ও তাকে জেলের ভাত খাওয়ানোর ভয়-ভীতি দেখান এবং সাংবাদিক কামরুল ইসলামের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে তিনি ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেন এবং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি এনামুল হক তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে হয়রানি করেন। এছাড়া বিবাদীপক্ষের কাছ থেকেও ঘুষ নিয়েছেন তিনি।
এসময় ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাংবাদিকের পক্ষ থেকে মামলার করার জন্য অভিযোগ দেয়া হলেও ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক সে মামলা না নিয়ে উল্টে অভিযোগকারীকে হুমকি দিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক তার বিরদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমি কোন পক্ষের নই। এসময় ঘুষ নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান ।