নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) প্রতিনিধি : নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের কাঠের সংযোগ পুলটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে । আর সেই ভাঙ্গা পুলটি দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে শিক্ষার্থীরা।
নির্মানের পর চার বছরেও মেরামত বা সংস্কার না হওয়ায় রুগ্ন দশার পুলটি যেন মৃত্যু কুপে পরিণত হয়েছে। যে কারনে পুল পারাপারে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পুলটি নিয়ে দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা এমনটাই আশংকা স্থানীয়দের ।
ওই স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, পুল পার হয়ে খালের পশ্চিম পাড়ে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে জামে মসজিদ এবং ইদেলকাঠি বাজার। এছাড়াও এলাকায় রয়েছে অনেকের নার্সারির ব্যবসা। পুলটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের চলাফেরা বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে । প্রথম দিকে স্থানীয়রা নিজ উদ্যেগে পুলটি মেরামত করেছিলো । এখন তাও ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। ঝুকিপূর্ন ওই পুল পার হতে গিয়ে বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা প্রায়ই পড়ে যায় । আর পুলটি ভেঙ্গে খালের মধ্য দেবে রয়েছে। এ কারনে মালবাহী কোন নৌকা বা ট্রলার যেতে খালটি থেকে যার ফলে সমস্যায় পড়ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা । এ নিয়ে আমরা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। নতুন পুল নির্মানের জন্য তিনি আমাদের আশ্বাসও দিয়ে ছিলেন ।
এ বিষয়ে পূর্ব কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, আমার বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে ওই পুলটি পার হচ্ছে। এ কারনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও সব সময় চিন্তিত থাকেন। বছর দু’য়েক আগে ওই ভাঙ্গা পুলটি সংস্কারের জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়ে ছিলাম। তখন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পুলটিতে কয়েকটি কাঠের তক্তা দিয়ে মেরামত করে দিয়েছিলেন। এখন পুলটি খুবই ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে।
ওই ইউনিয়িনের ইউপি চেয়ারম্যান মো: তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই পুলটি খুবই গুরুপ্তপূর্ন। ভাঙ্গা পুল পার হতে গিয়ে একজন ডাক্তার আহত হয়ে ছিলেন। পুলটি নির্মানের জন্য চেষ্টা করছি। ওই খানে একটি রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। ভাবছিলাম রাস্তার সাথে পুলটি নির্মান হবে। পরে দেখি পুলটি টেন্ডারে নেই। তাই আমি আমার পরিষদ থেকে পুলটি নতুন করে নির্মানের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছি। এক মাসের মধ্য পুলের কাজ শুরু হবে।