গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেরে বাংলাকে অনুসরণ করতে হলে আত্মোৎসর্গের রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। পচন ধরা অবক্ষয়ের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৃজনশীল এবং গুণগতমানের রাজনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।’‘ ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের অন্যতম মহানায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। দীর্ঘ ধারাবাহিক পথপরিক্রমায় আন্দোলন-সংগ্রাম আর ত্যাগ স্বীকার করে বাঙালি একটি স্থানে এসে পৌঁছায়। সে ধারাবাহিকতায় বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য শেরে বাংলা যে সময় ভূমিকা রেখেছিলেন, সে সময় কথা বলার দুঃসাহস অনেকেই রাখতেন না। তিনি কখনো রাজনৈতিকভাবে, কখনো প্রশাসক হিসেবে, কখনো সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে নানাভাবে বাঙালির অধিকারের জন্য কাজ করেছেন।’ শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলার মাজার চত্বরে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শেরে বাংলার কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হতে হবে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষসহ সারাদেশের মানুষের কল্যাণের রাজনীতি। রাজনীতি এমন হবে না যে, আমি নেতা আমি জমিদার আর সব মানুষ প্রজা। সে রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘শেরে বাংলার নীতিকে প্রকৃতভাবে অনুসরণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলার রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিও তাই ছিল। শেরে বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি ।
শেরে বাংলা জাতীয় সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি মুহম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।