পিরোজপুর পোষ্ট : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন? তা জানার কৌতূহল এখন দেশের সবারই। শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে শেখ মণির ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যুবলীগ সে বিষয়ে ভাবছেন খোদ আওয়ামীলীগ সভাপতি নিজেই। এমন পরিস্থিতিতে যুবলীগের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংগঠনের নেতারা।
আসছে ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন। এ নিয়ে ১০ অক্টোবর সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্যরা মিটিং করে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করেছেন আওয়মীলীগ ও যুবলীগের নেতৃস্থানীয়রা।
জানাগেছে, তুলনামূলক ক্লিন ইমেজের নেতারা স্বল্প পরিসরে নেতাকর্মীদের নিয়ে পার্টি অফিসে যাতায়াত করছেন। শীর্ষ কয়েকজন নেতা অনুসারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছেন। সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুসহ অনেকে এই মুহূর্তে পার্টি অফিসমুখীদের তালিকায়।
আওয়ামী লীগের এ সহযোগী সংগঠনের নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘এখানে কেউ প্রার্থী হন না। অনেকে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করেন বা নেতাদের কাছে নিজেকে তুলে ধরেন। আর প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগের কংগ্রেসে কখনো ভোট হয়নি। দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।’
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অনেক নেতার প্রোফাইল আওয়ামীলীগ সভাপতির হাতে। তিনি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান করছেন। এর মধ্য থেকে বাছাই করে স্বচ্ছ ইমেজের ও সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন দুইজনকে এ বৃহৎ সংগঠনের দায়িত্ব দেবেন। সম্মেলন নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে একটু আশার আলোও জেগেছে।
বিশেষ সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় এক ডজনের বেশি যুবনেতার নাম আছে। ওই তালিকায় শেখ পরিবারের অনেকের পাশাপাশি আছেন সাবেক ছাত্রনেতাদেরও নাম। তবে সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে শেখ পরিবারের একজনকে চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতাদের একজনকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। এদের দুইজনই যুবলীগের বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্য থেকে হবে। কারণ অভিজ্ঞতারও একটি বিষয় আছে।
এদিকে থেকে দেখা গেলে, সভাপতির পথে যাদের সম্ভবনা রয়েছে- বর্তমান যুবলীগের এক নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ পরিবারের আরেক সন্তান যুবলীগের দুই নম্বর কার্যিনির্বাহী সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমানে প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেনসহ অনেকে আছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায়।
আর সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক সুব্রত পাল, মহিউদ্দিন মহি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, উপশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, কার্যানির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার আলী আসিফ খানসহ আরও কিছু নেতা আছেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায়।
বর্তমান কমিটির একাধিক নেতারা জানিয়েছেন, এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে তাদের চাওয়া- সাবেক ছাত্রলীগ ও বর্তমানে যুবনেতাদের মধ্যে কর্মীবান্ধব, গতিশীল ও সহজে পাওয়া যায় এমন কাউকে। তবে যারাই যুবলীগের নেতৃত্বে আসবেন, তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইমেজ ফিরিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করা।