হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠিঃ
ছারছিনা দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব শাহ মোঃ মোহেবুল্লাহ বলেছেন, মুমিন মুসলমানরা এক হয়ে কাজ করলে দেশে অবশ্যই ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে। খাঁটি মুসলমান হতে হলে সুদ, ঘুষ, সন্ত্রাস,অন্যায়, বেবিচার থেকে দুরে থাকতে হবে। একজন খাটি মুসলমানকে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সমাজে ফ্যাতনা, ফ্যাসাদ বেড়ে গেছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ঈমান মজবুত করা। আমরা কোন রাজনীতি করিনা। আল্লাহর কুরআন ও হাদিছের কথা বলি। এ দরবার বা এ ছিলছিলা সম্পুর্ন রাজনীতি মুক্ত। ইসলামী আদলে নিজেকে গঠনকরা এটা কেবল একা করলেই চলবে না। নিজের পরিবার সহ পারিপার্শিক সমাজ ব্যবস্থায় ইসলামের স্তম্ভগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি বুধবার জোহর নামাজবাদ দরবারের তিনদিন ব্যাপী ইছালে সওয়াব মাহফিলের আখেরী মোনজাত পূর্ব বয়ানে এ কথা বলেন। তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতিটি হুকুম আহকাম মেনে চলা আমাদের প্রধান কাজ। সুন্নতি আদলের সাজ পোশাক, বাহ্যিক কর্মকান্ডের পরিবর্তে ইহুদী নাছারাদের কর্মকান্ড অনুসরন করবেন তা হবে না। আধুনিক সংস্কৃতির নামে অপসাংস্কৃতি আমাদের সমাজকে কলুসিত করছে। এ থেকে পরিত্রানের জন্য নিজের সন্তান পরিবার, সমাজকে সচেতন করতে হবে। আখেরী মোনাজাতকে কেন্দ্র করে কেবল ছারছীনাই নয় গোটা স্বরূপকাঠি প্রতিটি সড়ক, বাড়ীঘর লোকে পরিপুর্ন হয়ে যায়। দেশ ও গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি জন্য আল্লøাহর রহমত কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ছারছিনা দরবার শরীফের পীর শাহ মোঃ মোহেবুল্লাহ । প্রায় আধাঘণ্টা ধরে লাখ লাখ মুসল্লির ক্রন্দন রোল আর আমিন আমিন ধ্বনিতে গোটা মাহফিল এলাকায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পীর সাহেবের বড় জামাতা মাওলানা নুরুর রহমান বেগ। সকাল থেকে ওয়াজ নসিত করেন পীরসাহেবের বড় ছেলে আবু নসর নেছার উদ্দিন হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা ড. শরাফত আলী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন ছালেহী, মাওলানা আজম অহিদুল আলম।