মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার রাতে উপজেলায় তুষখালী কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহতে খবর পাওয়া গেছে। ওই হামলায় গুরুতর আহত কলেজ নৈশ প্রহরী খায়রুল ইসলাম ফরাজী (২৯)কে রাতেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইমরান (২২) ও রিফাত(২৪) নামের দুই যুবক মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে পিরোজপুর থেকে ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড নিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা তুষখালী কলেজে ঢুকে কলেজ মাঠে থাকা একটি বাস, একটি ট্রাক, একটি মোটরসাইকেল ও রাস্তার একটি মাহেন্দ্র গাড়ী, সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। এ সময় কলেজের দায়িত্ত্বে থাকা নৈশ প্রহরী খাইরুল ইসলাম ফরাজীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এসময় হামলায় উভয়পক্ষের ১৬জন আহত হয়। গুরুতর আহত নৈশ প্রহরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তুষখালী কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তুষখালী কলেজটি এবার এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় মঠবাড়িয়া উপজেলা দল। এ খেলায় পরাজিত হয়ে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে কলেজের সাইনবোর্ড, সিসি ক্যামেরা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে চলে যায়।
তুষখালী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন কলেজে হামলা চালিয়েছে। এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে।