মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
মঠবাড়িয়ায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বেরিবাঁধের দুই পাড়ে সৃজিত বৃক্ষ সংঘবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র কেটে আত্মসাত ও উপকারভোগিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গ্রামবাসি। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের হোতখালী গ্রামের উপকারভোগিদের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের হোতখালী সিএ-বি বাজার সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বনায়নের উপকারভোগি ও বিক্ষুব্দ তিন শতাধিক গ্রামবাসি অংশ নেন।
শেষে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের হোতখালী গ্রামের উপকারভোগি সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল জোমাদ্দার এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন, গুলিসাখালী ইউনিয়ন আ.লীগ সহ-সভাপতি শাহজাহান ফরাজি, সাধারণ সম্পাদ এ.কে আজাদ এবি, যুবলীগ সভাপতি জাকির হোসেন স্বপন তালুকদার, ছাত্রলীগ সভাপতি বরকত আলম মিতুল ও যুবলীগ নেতা আজিজুল হক তানভীর ফরাজি প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০০০ সালে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় মঠবাড়িয়ার হোতখালী বেড়িবাঁধের দুই পাড়ে ২৫ হাজার বৃক্ষ রোপন করে। এ বেরিবাঁধ সুরক্ষায় রেইনিট্র, নিম, তুলা, বকুল, গামার ও অর্জণ গত ২০ বছরে বেড়ে ওঠে। এলাকার ৫০ জন উকার ভোগি এসব গাছ টানা ২০ বছর ধরে পরিচর্যা ও সুরক্ষা করে আসছিলেন। সম্প্রতি বেরিবাঁধ সংলগ্ন একটি খাল খননের নামে ওই বেরিবাঁধে সৃজিত প্রায় ৪০০ গাছ স্থানীয় ্একটি সংঘবদ্ধ প্রভাশালীরা মিলে জবরদস্তি কেটে নিয়ে খুলনা মোকামে পাচার করে দেয়। এসময় দুই উপকারভোগি সদস্য হেমায়েত হাওলাদার ও হারুন জমাদ্দার ওই গাছ কাটার প্রতিবাদ জানালে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ গাছ কেটে নেওয়ার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা বন বিভাগে উপকারভোগিরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। রহস্যজনক কারনে সবুজ বেষ্টনীর এসব গাছ স্থানীয় দুই প্রভাবশালী চুন্নু হাওলাদার ও রহমান মালসহ ১৫ জন মিলে গাছ কেটে নিয়ে আত্মসাত করলেও প্রশাসন অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিক্ষুব্দ উপকারভোগি ও গ্রামবাসি নির্বচারে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূল বিচারের দাবি জানান।