এস এম আকাশ : ‘মোর দুইডা পোলা- মাইয়া মোরে জিগায় না। বাজারের টলসেডে বউ লইয়া থাহি। ভিক্ষা করে খাই।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের আজহার আলী। মাথা গোজার মতো নেই কোন ঘর, নেই কোন খাবারের ব্যাবস্থা। চেহারায় অপুষ্টির ছাপ। অথচ এক সময়ে পৈতৃক বাড়ি ছিলো। দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার ভালই চলছিল। ভাগ্যের পরিহাসে আজ ছেলে মেয়ে বৃদ্ধ পিতা আজহার আলীকে দেখাশোনা করেনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা-হামলা করে পৈতৃক থাকতেও আজ তিনি পথের ভিক্ষারী। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সেবা সুস্থ্যতার জন্য আমিরুন্নেছা নামের একজনকে বিয়ে করেন। অসুস্থ্য স্বামী আজহার আলীকে টলসেডে রেখে স্ত্রী আমিরুন্নেছা বেড়িয়ে পড়েন দু মুঠো খাবারের খোজে। বয়স্কভাতা এবং অন্যের কাছে হাত পেতে যা পায় তা দিয়েই কোন ভাবে চলে তার সংসার।
বৃদ্ধ আজহার আলী জানান, মাইডারে বিয়া দিছি। আর পোলায় মাছ ব্যবসায়ী। বিয়া হইররা বউ লইয়া থাহে। হেও মোরে জিগায় না।
কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সামাজিক উদ্যোক্তা আঃ লতিফ খসরু জানান, বৃদ্ধ আজহার আলীর ছেলেকে ধরে এনে তার উঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ছেলে তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে বললে বৃদ্ধ আবার স্ত্রীকে নিয়ে পথে বেড়িয়ে পড়েন। আমি যখন যা পারি বৃদ্ধকে সহযোগীতা করি। সমাজের বিত্ববান ব্যাক্তিদের ওই দম্পতির প্রতি হাত বাড়িয়ে দিতে আহবান জানান।