ভান্ডারিয়া পৌর সভায় বৃহস্পতিবার (১লা আগষ্ট) রাতে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করা হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর সভার দু জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দুটি নতুন মেশিনে পৌর সদরের ,দোকান,আবাসিক বাসাবাড়ি,নর্দমাযুক্ত ড্রেন,জলাশয় সহ বিভিন্ন স্থানে এ ওষুধ স্প্রে করে। এসময় বাজারে হঠাৎ করে বাজারের দোকান গুলোর আশে পাশে ধোয়া এবং মেশিনের শব্দ পেয়ে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। সারা দেশে যখন ডেঙ্গু আতঙ্কে জনসাধারন শংকিত ঠিক সে মুহুর্তে ভা-ারিয়ায় আগাম সতর্কতা হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এবিষয়ে ভান্ডারিয়া পৌর প্রশাসক ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত থেকে রক্ষার আগাম সতর্কতা হিসেবে পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে এবং উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ থেকে পৃথক ভাবে ২টি করে মেশিনে ডিম,বাচ্চা বিনষ্টের জন্য লারভিসাইড এবং বড় মশা নিধনের জন্য এ্যালভাটি সাইড এ দু ধরনের ওষুধ স্প্রে করা হয়। এছাড়াও “জ্বালাবেন ধুপ ,মশা থাকবে চুপ”এ শ্লোগানে জনসচেতনতায় মাইকিং,লিফলেট বিতরণ,পরিচ্ছন্ন অভিযান ছাড়াও পৌর সভার প্রত্যেক ওয়ার্ড কান্সিলরদের স্ব স্ব ওয়ার্ডে একটি করে পরিচ্ছন্ন কমিটি করে পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভা-ারিয়ার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুমন মিস্ত্রি (২৫)নামের এক যুবক গত ২৫জুলাই ভা-ারিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাঙ্গু আক্রান্ত ধারনায় ২৬জুলাই তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. বেল্লাল হোসেন। অপর এক ডাক্তার জানান তাকে বরিশাল নেয়ার সময় পথি মধ্যে মারা যায়। এছাড়াও এর ১দিন ঢাকায় কর্মকর ভা-ারিয়ার পার্শবর্তী রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের নিগার সুলতানা নামের (২৫)বছর বয়সী এক নারী ভা-ারিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে ওই দিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত ধারনা করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেও পথি মধ্যে মারা যায়। এবিষয়ে ডা: মো. বেল্লাল হোসেন জানান, আমাদের এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার মত মেশিন না থাকায় রোগীর প্রাথমিক সিমটম দেখে ধারনা করে তাদের বরিশালে রেফার করা হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় একটি ডেঙ্গু মশার আকারে দেখতে পেয়ে গৃহকর্তা সেটি তাৎক্ষণিক মেরে ফেলে দেয়।