ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের টিএন্ডটি সড়ক সংলগ্ন কবিরাজ বাড়িতে পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাচাতো ভাইদের এলোপাথারি কোপে গুরুতর আহত হয়েছে শহিদুল কবিরাজ (৪০) ও তার মা আমিরোন নেছা (৬০)। রবিবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে শহিদুল কবিরাজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর সোমবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আমিরোন নেছাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শহিদুলের ছোট ভাই নজরুল কবিরাজ সোমবার ভান্ডারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শহিদুল কবিরাজকে রোববার সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়িতে তারই আপন চাচাতো ভাই মিঠু কবিরাজ (৩৫), রনি কবিরাজ (২৮) ও হাসান কবিরাজ (২০) গাছকাটা দাও ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি ভাবে ঘারে পিঠে, পায়ে কোপাতে থাকে। এ সময় শহিদুলের মা আমিরোন নেছা ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে সেও আহত হয়। আহতের স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।তবে শহিদুলের দুই পাই কেটে ফেলা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।ইতিপূর্বে শহিদুল কবিরাজ পক্ষ বর্তমান হামলাকারী মিঠু কবিরাজকে কুপিয়ে আহত করেছিল। এর জের ধরেই এই ঘটনার সূত্রপাল বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান জানান, শহিদুলের ছোট ভাই নজরুল কবিরাজ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করব।উল্লেখ্য, এর পূর্বে গত ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার একই ভাবে শহিদুল কবিরাজের ছেলে রাহাত কবিরাজকে (১৮) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এ পক্ষটি। গুরুতর আহত রাহাত ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানাগেছে।