ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার উত্তর পূর্ব ভাণ্ডারিয়া মিয়া বাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক লাখ লাখ টাকার সরকারি ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কমিউনিটি ক্লিনিকের ঔষধ বিতরণ না করে আত্মসাতের জন্য মজুদ করতে গিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার ওই ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত অ্যামক্সিসিলিন সিরাপ, এন্টাসিড, ফলিক এসিড, জিংক, প্যারাসিটামল, কো-ট্রাইমক্সজল, জেন্টামাইসিন ড্রপসহ বিভিন্ন ধরণের বিপুল পরিমান ওষুধ মজুদ করে রাখায় মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, উত্তর পূর্ব ভাণ্ডারিয়া মিয়া বাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বে থাকা কালিন সময় সিএইচসিপি মাসুদ হাওলাদার রোগীদের বিনামূল্যের এসব সরকারি ওষুধ বিতরণ না করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মওজুদ করে রাখে।
স্থানীয় নান্না চাপরাশি, গৃহীনি পিয়ারা বেগম, রিক্সা চালক আমজাদ আলী জানান, এলাকাবাসী এ ক্লিনিক থেকে নিয়মিত সেবা পেতেন না। রোগীরা সেখানে গেলে সাফ জানিয়ে দেয়া হত বিনামূল্যের কোন ওষুধ এখানে নেই। রোগীদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করত। এছাড়া প্রায়শই কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ থাকত। এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ঔষধ মওজুদ করে রাখা হয়েছে। এসব ঔষধের মধ্যে হাজার হাজার ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ন।
সিএইচসিপি মাসুদ হাওলাদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগি না আসার কারনে এসব বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এক এমপি’র ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে সিএইচসিপি মাসুদ হাওলাদার সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত এবং সে ষ্টোরের কোন হিসাব-নিকাশ প্রদান করত না। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে ।
জেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ডা. ফাহাদকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দু’জন হলেন, প্রধান সহকারী মো. সোহেল ও অফিস সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস।
রেজিষ্ট্রারের সাথে ওই ক্লিনিকের মজুদকৃত ওষুধের সঙ্গে কোন মিল নেই। এছাড়া গত ১৬ জুন সিএইচসিপি মাসুদ হাওলাদারকে হেতালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং হেতালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জুথিকা রানীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।