পিরোজপুর পোষ্ট : ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন ভেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল নামের এক সাংবাদিক বিষয়টি সামনে আনেন । সেখানে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ সকালে ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলামের পরিবারকে দেখতে যাওয়ার সময় সরকার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েছেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছুটে যান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উদ্বেগের কথা জানান। রাষ্ট্রদূতদের ওপর এটা দ্বিতীয় কোনও হামলার ঘটনা। ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট প্রথম হামলা হয়েছিল তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপর। একই সরকারের সমর্থকেরা সেই হামলা করেছিল। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশ কীভাবে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং সরকারপন্থি লোকদের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে? তাহলে এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত হিসেবে মানবাধিকারের প্রতি সম্মানকে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রধান উপাদান হিসাবে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলি। এছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ নষ্ট করে এমন বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ইস্যুগুলো তুলে ধরা হয়। ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মীরা গত ১৪ ডিসেম্বর একটি সভা আগে ভাগেই শেষ করেছেন এবং এই বিষয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে রাজধানী শাহীনবাগে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরে শাহীনবাগের ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।