মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
উপকূলীয় এলাকা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ২টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্বোধন করবেন।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র দুটি হচ্ছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামে আঃ হামীদ ফরাজী শিশু সদন ও মাদ্রাসা বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নে রাজারহাট গ্রামে শরিফ বাচ্চু মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামে আঃ হামীদ ফরাজী শিশু সদন ও মাদ্রাসা বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উপস্থিত থাকবেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল ফরাজী প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ জানান, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় তিনতলা বিশিষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো নির্মাণ হয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৪ কোটি ৫৭লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে এ এস পি পিবিকে জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দুটি নির্মাণ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে এই আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে মানুষের স্বল্প সময় অবস্থানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা থাকার স্থান, শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর স্থান, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ভবনগুলোতে। এছাড়া, সুপেয় পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। ‘আশ্রয় নেয়া মানুষ যাতে তাদের গবাদি পশু এখানে এনে রাখতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। তিনি আরও বলেন.‘অন্য সময়ে এই ভবনগুলোতে শিা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেভাবেই ভবনগুলো তৈরি করা হয়েছে।