নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাজিরপুরে রবিবার সকালে ৩টি মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুক করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা হামলাকারী মো. কামরুল ইসলাম সুজন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে স্থানীয় থানা পুলিশের সোপর্দ করেন। আটককৃত ওই যুবক স্বরূপকাঠী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের মৃত জয়নাল ইসলামের ছেলে। পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলার লারদোয়ানিয়া গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী সবিতা মল্লিক জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হামলাকারী স্থানীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দিরে ঢুকে কালি’র প্রতিমা ও সেখানে থাকা ঘট ভাংচুর করে। এসময় ধাওয়া দিয়ে স্থানীয় জগদ্বিশ চন্দ্র রায়ের পুত্র রামকৃষ্ণ রায় অজিত তাকে ধরতে চাইলে ওই যুবক তাকে মারধর করে পালিয়ে যাইতে চেষ্টা করে। এসময় আমাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই যুবককে আটক করে।
ওই মল্লিক বাড়ির গৃহবধু গৌরি মল্লিক জানান, আমি পুজো দিতে মন্দিরের তালা খুলে ফুল আনতে যাই। ফিরে আসার সময় দেখি ওই যুবক বাড়ি থেকে দৌড়ে যাচ্ছে। পরে মন্দিরে ঢুকে দেখি সেখানে থাকা সকল প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৬টার দিকে ওই যুবক উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের কলারদোয়ানিয়া বাজারে অবস্থিত কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করার কথা স্বীকার করেছে। ওই মন্দিরের সাধারন সম্পাদক ডাক্তার সুখরঞ্জন মল্লিক জানান, মন্দিরটি তালা দিয়ে আটকা ছিলো। সকাল ৬টার দিকে মন্দিরের তালা ভেঙ্গে ওই যুবক মন্দিরে থাকা প্রতিমা থেকে কার্তিক ঠাকুর, সরস্বতি ও প্রলাদ ঠাকুর সহ ৫টি প্রতিমা ভাংচুর করে। এর আগে সকালে ওই বাজারের আটককৃত ওই যুবকের সাথে আরো এক যুবককে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির মন্দিরের ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে পিরোজপুর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোঃ হায়াতুল ইসলাম খান জানান, গ্রেফতারকৃত ওই যুবক এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।