পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ গ্রামে সাড়ে ৫ বছরের শিশুকন্যা লিপি আক্তারকে রাগের বসে আপন মা নাজমা বেগম গরম খুন্তি দিয়ে মারতে গিয়ে মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত শিশুটিকে বুধবার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এমন খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বারান্দার মেজেতে কাতরাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার বিকেলে শিশু কন্যা লিপি ঘরের মধ্যে খেলছিল। এসময় তার মা মেয়েকে ডাকাডাকি করলেও লিপি তা শুনতে পায়নি অথবা সাড়া দেয়নি। এতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রান্না ঘর থেকে গ্যাসের চুলার পাশে থাকা গরম খুন্তি দিয়ে মেয়েকে প্রহর করতে থাকে। এতে তার মুখ, হাত ও পিঠের নরম অংশ (চামড়া) ঝলসে যায়।
অপর এক সূত্রে জানাগেছে, শিশু লিপির পিতা কলারণ এলাকার মো. ইসমাইল চৌকিদার ফেনী জেলায় শ্রমিকের কাজ করেন। মা নাজমা বেগম মেয়েকে নিয়ে একা বসবাস করছেন। নাজমা বেগমের দাম্পত্য জীবন সহজে মেনে নিতে পারেনি তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। এ নিয়ে অত্যাচারও সয়েছেন নাজমা বেগম। আর শ্বাশুড়ীর অত্যাচারের কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে মা নাজমা বেগম মেয়ে লিপিকে প্রায়ই মারধর করতো।তবে রাগের বসে এ কান্ড করায় মা নাজমা বেগম এখন অনুতপ্ত বলে সাংবাদিকদের জানান। মেয়ের এ অবস্থার জন্য দুঃখ্য প্রকাশ করে কান্নাকাটি করছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, সংবাদটি পেয়েছি। সংবাদ পেয়ে আমরা ওই বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। গিয়ে দেখা গেছে ঘরটি তালাবদ্ধ। পরে পিরোজপুরেও আমাদের অফিসার পাঠিয়েছিলাম। শিশুটি বর্তমানে পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিশু লিপি আক্তার বালিপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্রী ও উপজেলার কলারণ এলাকার মো.ইসমাইল চৌকিদারের কন্যা।
জে আই লাভলু
ইন্দুরকানী, পিরোজপুর।