পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পূর্ব সিকদার মল্লিক দারুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক শামসুল হক টুকু মৃধার (৬০) বিরুদ্ধে ৮ বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুটি জানায়, মাদ্রাসার বাংলা ক্লাশ শেষে খাতা দেখাতে গেলে ক্লাশের অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে শিক্ষক টুকু মৃধা তার (শিশুটির) জামা ও পাজামার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বুকে এবং লজ্জা স্থানে হাত দেয়। পরে হাতে পাঁচ টাকা দিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেয়।
শিশুটির নানী সাহিদা বেগম জানান, শিশুটি তার মেয়ের ঘরের নাতনি। তার বাবার বাড়ি পাশের সিকদার মল্লিক গ্রামে। বাবা শাহীন মৃধা ঢাকায় বসবাস করেন। সেখানে রিক্সা চালান। মা গত কয়েক মাস হলো কাজের জন্য সৌদী আরব গিয়েছে। মা-বাবার একমাত্র সন্তানটি পূর্ব সিকদার মল্লিক গ্রামের মামা মনির সেখের বাড়িতে থেকে ওই মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। বুধবার দুপুরে ঘটনার পরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি এসে সে (শিশু) তার মামী সাহিদা বেগমকে বিষয়টি জানায়। তখন শিশুটিকে নিয়ে আমরা মাদ্রসার সুপারের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
সাহিদা বেগম আরো জানান, টুকু মৃধা একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। এ রকম জঘন্য কাজ সে আগেও কয়েকবার করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, ঘটনাটি শুনে বিকেলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।