নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলা জুড়েই বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। বিশেষ করে মাংসপট্টি ও ডাস্টবিন এলাকায় এসব কুকুরের উপদ্রপ বেশি। আর এসব স্থান দিয়ে যাতায়াতই হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক।
সরজমিনে দেখা যায় জানা যায়, জেলা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে সকালে ও রাতে পাল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় কুকুরের দল। বাজারের ক্রেতাদের ক্রয়কৃত খাদ্যসামগ্রী কেড়ে নিতে কুকুরের হামলায় অনেক পথচারী আহত হচ্ছে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রী, একাকী কোনো পথচারী কিংবা অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহীকে কুকুরের দল তাড়া করে কামড়ানোর চেষ্টাও করছে। যদি কোনো এলাকায় কোন অনুষ্ঠান থাকে তাহলে কুকুরদের দাপাদাপিতে আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা চরম আতঙ্কে ভোগেন।
পৌর এলাকার এনামুল হক বলেন, একটু রাত বাড়ার পরই শহরে শুরু হয় কুকুরের দাপাদাপি। সাইকেল, মোটরসাইকেল দেখলে দল বেঁধে তেড়ে আসে কুকুর। কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার ঘটনা এ পাড়ায় অনেক ঘটেছে। একই এলাকার রুহুল আমিন বলেন, ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় প্রায়ই কুকুরের উৎপাতে বিপদে পড়তে হয়।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কুকুর নিধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে নিধন কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রয়েছে। হাইকোর্ট থেকে সকল প্রকার প্রাণিহত্যা নিষেধ থাকায় তা এখন সম্ভব নয়। তবে, বেওয়ারিশ কুকুর পাগল হলে সামাজিকভাবে জনগণ কর্তৃক নিধন করা উচিৎ।
পিরোজপুরের জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, কুকুরের কামড়ে মরনব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ হয়। ভ্যাকসিন না নিয়ে অপচিকিৎসা করলে মৃত্যু অনিবার্য।