নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুর সদর উপজেলার ৭৪ নং মধ্য নামাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস খানমের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে জেলার নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিকদার মো. আতিকুর রহমান জুয়েলকে। আজ রবিবার ওই তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা শিকদার মো. আতিকুর রহমান অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার স্বামী মো. বশির হোসেন একই উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা। স্থানীয় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের অভিযোগ ওই কর্মকর্তাকে দিয়ে করা তদন্ত নিরপেক্ষ না হয়ে বরং ওই শিক্ষিকার পক্ষেই হবে।
অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষিকার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে গত রবিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন সহ ক্লাস বর্জন করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর আগের দিন শনিবারও ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আর সে কমিটির প্রধান হিসাবে নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিকদার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল আগামী রবিবার তা তদন্ত করবেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম শেখ জানান, ওই প্রধান শিক্ষিকা তার স্বামী বাড়ির সংলগ্ন বিদ্যালয়ে গত ১৪ বছর ধরে চাকুরী করছেন। আর সে সুবাধে বিদ্যালয়টি নিজের খেয়াল-খুশীমতো পরিচালনা করে আসছেন। তিনি প্রায়ই বিদ্যালয়ে আসেন না ও ক্লাস করান না। শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোর করে স্কুলের টয়লেট সহ পানির টেংকি পরিস্কার করান। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সাথে অকথ্য ভাষা ব্যাবহার সহ মারধর করেন। তার এসব অনিয়মের কারনে এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। আমরা বিদ্যালয়ের পড়ার পরিবেশ ফিরে পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জেছের আলীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিই এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিলে আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।