নিজস্ব প্রতিনিধি : বরিশালের রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলামের নির্দেশে পিরোজপুরে জেলা জুড়ে লাগানো হয়েছিল অভিযোগ বক্স । এবার সেই অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের সিন্ডিকেট সন্ধান মিলেছে । এ নিয়ে পিরোজপুর ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে এ সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা মারুফ । বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানান পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন ) । এসময় তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, শেরপুর, সাভারসহ বৃহত্তর ঢাকার তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গত আড়াই মাসে বিআরটিএ’র পিরোজপুর অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে কোন কাগজপত্র ছাড়াই। সম্প্রতি পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন বসানোর পর এই প্রতিষ্ঠানের ঢাকা, বরিশাল ও পিরোজপুরে কর্মরত কতিপয় ব্যক্তি এ ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। এ সিন্ডিকেটে শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয় লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকারী আরো দু’একটি সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসের তথ্যও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে ।পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের মাধ্যমে এই শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়ে গত আড়াই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানের তিন শতাধিক ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এমন তথ্য পিরোজপুর ডিবি পুলিশের হাতে এলে পিরোজপুরের গোয়েন্দা পুলিশ উদঘাটন করতে থাকে। এর মধ্যে পিরোজপুর শহরে লাগানো একটি অভিযোগ বক্স থেকে লিখিত একটি অভিযোগ আসে জেলা পুলিশের হাতে । ঐ অভিযোগে ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের চক্রের তথ্য নিয়ে পিরোজপুর ডিবি পুলিশ বুধবার রাতে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের দালাল পিরোজপুর শহরতলীর বাসিন্দা মারুফকে (৩৬) গ্রেফতার করে । এ অপকর্মের সাথে যুক্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের বেল্লাল হোসেন নামে এক কর্মকর্তাসহ আরও দু’একজন কর্মচারী’র যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করে দেয়া হতো।