শুভ রায় : একদিন পরে পবিত্র ঈদুল আজাহ এর মধ্যে রাজধানীসহও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা লোকজন ও আত্মীয় পরিজনরা সাথে ঈদ করার জন্য পিরোজপুরে আসছে । দেশের দক্ষিনের জেলা পিরোজপুরে সারা দেশের ন্যায় ডেঙ্গুর প্রভাব বেশি না থাকলেও প্রতিদিন আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয়দের ধারনা রাজধানীসহও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা লোকজনের মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রভাব পিরোজপুরে বাড়তে পারে ।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিরোজপুরে ১০০ জনের উপর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করেছেন চিকিৎসকেরা। এদের মধ্যে অনেকেই ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ভর্তি রয়েছে ৩১ জন রোগী। সন্তাক্তকৃত রোগীদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজন ও চিকিৎসকেরা। তবে দিন যতই যাচ্ছে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ততই বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর এ আতঙ্কের মাত্রা আরো বেড়েছে একদিন পরে পবিত্র ঈদুল আজাহর সময় রাজধানীসহও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা লোকজন পিরোজপুর আসাকে কেন্দ্র করে । স্থানীয়রা অনেকেই মনে করছেন যেহেতু এ রোগের প্রার্দুভাব রাজধাণীতে বেশি তাই সেখান থেকে আসা মানুষজনদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ থাকতে পারে এবং তা দিয়ে ছড়াতে পারে পিরোজপুরে অধিকমাত্রায় । এরই মধ্যে দু একজন জেলার বাইরে থেকে আসা রোগীরাও পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পিরোজপুর সদর রোডের ব্যবসায়ী মোঃ সোহাগ বলেন, ঢাকা থেকে যারা আসছেন তাদের মধ্যে যদি এই রোগের সংক্রমণ থাকে তাহলে তো পিরোজপুরেতো এ রোগে রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ।
পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ নাঈমুল বলেন, পিরোজপুরে ডেঙ্গুতে খুব বেশি আক্রান্ত না হলেও এবার ঢাকা থেকে যারা আসছে তাদের মাধ্যমে এর পরিমান বাড়তে পারে ।
তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে বা জেলায় আসা নতুন ব্যক্তিদের নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, হাসপাতালে এসে যথাযথভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া এডিস মশা যেন বংশবৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে ও বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখার আহবান জানান পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ফারুক আলম।আর স্থানীয়দের সচেতন করতে ও আতংকমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।