নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া লিটন মন্ডল নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর গ্রামের সুধীর রঞ্জন মন্ডলের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর গ্রামের সুভাস চন্দ্র দেউরীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে ঝর্ণা রাণী দেউড়ীকে দীর্ঘ দিন ধরে উত্যক্ত করেছিল একই গ্রামের লিটন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঝর্ণাকে বিভিন্ন সময় অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিল লিটন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১৪ মে ঝর্ণা তার বোনের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার আন্দারমানিক গ্রাম থেকে নেছারাবাদের আটঘর গ্রামে ফেরার পথে উপজেলার কৌড়িখাড়া খেয়াঘাট থেকে লিটন সহ আরও ৪-৫ জন ঝর্ণাকে অপহরণ করে ট্রলারযোগে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বরিশালের বানারিপাড়া থানা পুলিশ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে ঝর্ণার মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং লাশের ময়না তদন্ত শেষে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে কবর দেয়। পরবর্তীতে ঝর্ণার পরিবার পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জেনে ঝর্ণাকে শনাক্ত করার পর ২৪ মে লিটন সহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নেছারাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে নিহত ঝর্ণার পিতা সুভাষ চন্দ্র দেউড়ী।
ঘটনার পর থেকেই লিটন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন জনকে আসামী করা হলেও, আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যহতি দেয়।