হযরত আলী হিরু : নানা সমস্যায় জর্জরিত পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি বাসষ্ট্যান্ডটি এখন নামেই শুধু বাসষ্ট্যান্ড। বর্তমানে এটা দেখে যে কেউ বাসষ্ট্যান্ড না ভেবে কোন ধান ক্ষেতও ভাবতে পারেন। এ বাসষ্ট্যান্ডে যাত্রী বা চালক কারও জন্য নেই কোন সুযোগ সুবিধা। যাত্রীসেবা নয় যাত্রী ভোগান্তিই যেন এখন এর কাজ। ২৭ বছর পূর্ব থেকে স্বরূপকাঠির সাথে বরিশালের আর ২৫ বছর পূর্ব থেকে স্বরূপকাঠির সাথে রাজধানী ঢাকার সড়ক পথে বাসসার্ভিস চালু হয়। তখন স্বরূপকাঠি – বরিশাল সড়কের মাগুরা নামক স্থানে সড়কটির ওপরে যাত্রী ওঠানামা করতো। বিগত দেড় বছর পুর্বে স্বরূপকাঠির থানার পশ্চিম পার্শ্বে নির্ধারিত বাসষ্ট্যান্ডের জায়গায় পৌর বাসষ্ট্যান্ড স্থানান্তিরত হলেও নির্মিত হয়নি প্ল¬াটফর্ম। নেই কোন যাত্রী ছাউনি ও পাবলিক টয়লেট। ব্যবহার উপযোগী নেই কোন শৌচাগার। প্লাটফর্ম না থাকায় অপেক্ষারত যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। সাগরিকা পরিবহনের চালক মন্টু জানান, পাকা প্ল¬াটফর্ম না থাকায় কাঁচা এ প্ল¬াটফর্মে খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে গাড়ি ঘুরাতে হিমশিম খেতে হয়। বর্তমানে স্বরূপকাঠি থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলীগামী বিলাসবহুল সাকুরা, হানিফ, ঈগল, সোনার তরী, গোল্ডেন লাইন, সুগন্ধা, সাগরিকাসহ ১২টি বাসে দিবা রাত্রি কয়েক’শ যাত্রী পরিবহন করছে। অপরদিকে বরিশালগামী লোকাল বাস ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় এবং একই নিয়মে বরিশাল থেকে লোকাল বাস স্বরূপকাঠি আসে। এতে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে বলে জানান লোকাল বাস কাউন্টারে টিকেটের দায়িত্বে থাকা দুলাল দাস। ঢাকার বাস কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদ হোসেন ও শাহিন আহম্মেদ জানান, জনগুরুত্বপুর্ন এ বাসষ্ট্যান্ডে কোন যাত্রী ছাউনি ও পাবলিক টয়লেট না থাকার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। তবে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় যে সব পরিবহন ঢাকা থেকে ভোর রাতে স্বরূপকাঠি আসে। যাত্রী ছাউনি ও শৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। বরিশাল বাস মালিক সমিতির সদস্যরা জানান বাসষ্ঠ্যান্ড ও রাস্তার দূর্ভোগ নিয়ে বারবার এলজিইডি ও সড়ক বিভাগকে অবগিত করে তাগাদা দেয়া সত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। বরিশাল বাস মালিক সমিতির নিজস্ব ব্যায়ে যে সংস্কারটুকু করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।