নাজিরপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ২ সন্তানের জনক কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিতা হয়েছে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাঁখারীকাঠি ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মন্দির ভিত্তিক শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। আর ধর্ষক মিন্টু মন্ডল উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত গুরু দয়াল মন্ডলের পুত্র ও ডেকারেটর ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার শাখারীকাঠী ইউনিয়নের গীলাতলা গ্রামের মৃত প্রফুল্ল গাইনের জামাতা। আর সে সূত্র ধরে সে শ্বশুড় বাড়ি গীলাতলা থাকেন।
সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তার মা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানান, গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে তার ৬ বছর বয়সের কন্যাটি একই বাড়ির অন্য একটি শিশুর সাথে খেলা করতে যাচ্ছিল। এ সময় পাশের বড়ির মৃত প্রফুল্ল গাইনের জামাতা ধর্ষক মিন্টু মন্ডল আমার মেয়েকে ডেকে তার বসত ঘরে নিয়ে যায় ও তার সাথে থাকা অন্য শিশুটিকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তার বসত ঘর দড়জা আটকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে ও ঘরে আটকে রাখে। রাতে আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাকে অসুস্থ দেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক প্রফুল্ল গাইনকে দেখাই। কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর মনে হলে সোমবার সকালে তার বাবা ও ধর্ষক মন্টু’র শালা রিপন গাইন তাকে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে গেছেন। স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংশার চেষ্টা চলছে।
নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্থা মো. মুনিরুল ইসলাম মনির জানান, বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখানো ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাই নি। তারপরও ধর্ষক মন্টুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।