নাজিরপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে এসএসসি’র ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২টি দাখিল মাদরাসা থেকে চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিবে। এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে এসব টাকা আদায় করা হয়েছে ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার ফরম পূরনের সময় অন্য কোন ধরনের ফি বা চাঁদা নেয়া যাবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। আবার কোন বিদ্যালয় এ অতিরিক্ত ফি নিতে বাছনিক ( টেস্ট) পরীক্ষায় ফেল করার জন্য জরিমানা হিসাবে ফি নিচ্ছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো এ অতিরিক্ত ফি নিতে তারা পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষার্থীদের বাছনিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য (ফেল) করাচ্ছেন।
উপজেলার শ্রীরামাকাঠী ইউজেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরন করা মানবিক বিভাগের ছাত্র মেহেরাব জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের সর্বো নিম্ম ৩ হাজার ৯৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের ৩ হাজার ১৫৫টাকা নেয়া হয়েছে। আর টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেলকরা প্রতিটি বিষয়ের জন্য জরিমানা বাবদ ২ শত টাকা করে নেয়া হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা, দিঘীরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ থেকে ৫ হাজার, মাটিভাঙ্গার হাজী আব্দুল গনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা টাকা আদায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম জানান, উপজেলার হাজী আ. গনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এম অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল আজিম জানান, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কেন্দ্র ও ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফিসহ মানবিক ১৮৫০ ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ১৯৭০টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর চেয়ে বেশী টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।