নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমানে নেশা দ্রব্য ইয়াবা,ফেন্সিডিল,গাঁজা,মদ,বিয়ারসহ আরো কয়েকটি নেশাজাত দ্রব্যকে বুঝানো হলেও হ্যামিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেকটিফাই স্পিরিটের মাত্রারিক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে নেশার ক্ষেত্র হিসেবে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে । পিরোজপুরে বর্তমানে রেকটিফাই স্পিরিট সেবী ও ব্যবসায়ীরা সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । দামে কম ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত এ নেশার পন্য হাতের নাগালে থাকার কারনে এর দিকে ঝুকছে নেশাগ্রস্থরা ।
সূত্রের তথ্যনুযায়ী পিরোজপুরের জেলা সদরসহ আশে পাশের কয়েকটি উপজেলার নামমাত্র হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকন দিয়ে রেকটিফাই স্পিরিটের ব্যবসা করে আসছে কিছু অসাধু নামসর্বস্ব একদল ব্যবসায়ীরা । উচ্চমাত্রার ইথাইল এ্যালকোহল (৯৫.৬%) ও কিছু পানি (৪.৪%) মিশিয়ে এ রেকটি ফাই স্পিরিট তৈরী করছে অসাধুরা । যেহেতু এটি দিয়ে ওষুধ তৈরী করা হয় । তাই এর উপর খুব বেশি নজর নেই নিয়ন্ত্রনসংস্থা ও প্রশাসনের। অথচ উচ্চমাত্রার এই স্পিরিটের গ্রহনের ফলে অকালে মৃত্যুবরণ করার মত নজির কমও নয় পিরোজপুরে। পানের অযোগ্য এসব উচ্চমাত্রার স্পিরিট দেশের বাইরে থেকে শিল্প কারখানায় ও ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে আমদানী হলেও অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় মদ ও ছোট বোতলে করে নেশার দ্রব্য হিসেবে বাজারজাত করছে । বিভিন্ন পানযোগ্য এ্যালকোহলের দাম বেশি থাকার কারনে কমদামী এ উচ্চমাত্রার স্পিরিটকে এ্যালকোহল হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা ।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, নিয়মিত যারা রেকটিফাই স্পিরিট গ্রহন করে তাদের লিভার ক্ষতিগ্রস্থ ,লিভার সিরোসিস,কিডনী নষ্ট, মানসিক ভারসাম্য হারানোসহ বিভিন্ন রোগের পরিমান বেড়ে যায়। উচ্চমাত্রার এই ইথাইল এ্যালকোহল শিল্প কারখানায় ও ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় মূলত । এটা পানের জন্য পুরোপুরি অযোগ্য ।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা : ফারুখ আলম বলেন, রেকটিফাই স্পিরিট নিয়মিত সেবন করলে চোখের অন্ধত্বসহ লিভার সিরোসিস হতে পারে ।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে । যদি কোন অসাধুরা এর মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে ।