মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পেঁয়াজের পর এবার লবন নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়েছে। লবনের দাম একশ টাকা ছাড়িয়ে যাবে এমন গুজবে গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে ছুটে আসছেন সাধারণ মানুষ। সেই সাথে গ্রামের বাজারের খুচরা ব্যবসায়িরাও ছুটে আসছেন লবন কিনতে। দাম বাড়ার আশংকায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লবন কিনছেন ক্রেতারা। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে লবনের দাম বাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। লবনের দাম না বাড়লেও সাধারণ মানুষের ভিরে বিক্রেতারা অতিরিক্ত লবন সরবরাহে হিমসিম খাচ্ছেন। বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যবসায়ির মজুদকৃত লবন ফুরিয়ে যায়।
লবনের দাম বৃদ্ধির গুজবে বাজারে ক্রেতাদের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টির খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ^াস তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করেন। উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ ফাতিমা বেগম (৪০) ন্যায্য দামে ৪ কেজি লবন কিনে বলেন, দুপুরে গ্রামে বসে লবনের দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে লবন কিনতে এসেছি। বাজারে এসে দেখি দাম আগের মতোই আছে। তবুও ৪ কেজি লবন কিনলাম।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের ব্যবসায়ি দিলীপ কুমার সাহা বলেন, লবনের কোন দাম বাড়েনি। ন্যায্য দামেই লবন বিক্রি হচ্ছে। গুজবের কারণে গ্রাম থেকে মানুষ এসে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লবন কিনছেন। এতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে লবন ক্রেতাদের ভিরে বাজার সরগরম অবস্থা। বেশির ভাগ মানুষজন লবন কিনছেন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লবন কেনায় অনেক ব্যবসায়ির মজুদকৃত লবন দুই ঘন্টার মধ্যেই ফুরিয়ে গেছে। এখনো খাবার লবন ২৫ টাকা ও রান্নার লবন ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার আলগী বাজারের জাহাঙ্গীর হোসেন নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি একমন লবন কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বাড়বে শুনে বাড়তি লবন কিনে রাখছি।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ^াস বলেন, লবনের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দুইজন ব্যবসায়ি বাড়তি দামে লবন বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাদেরকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লবন মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।