নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এক শোকবার্তায় তিনি এই শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম,পিরোজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ.কে.এম. আউয়াল,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী, পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক,জেলা আইনজীবী সমিতি ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার (৭৫) মারা যান। তিনি দুই কন্যা ও স্ত্রী রেখে গেছেন।
জানাযায়, গত ২০ দিন ধরে শ্বাস-কষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) হঠাৎ শ্বাস-কষ্ট বেড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাকিম হাওলাদার জেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পিরোজপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলনে দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের পৈটখালী গ্রামে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও পিরোজপুর মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পিরোজপুর জেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
রবিবার দুপুর ১২টায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর গ্রামের বাড়ি ভান্ডরিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের চড়াইল গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।