শ্বেত সবুজ পাহাড়ের বুক বেয়ে
অজগর সাপের মত
সৌম্য শান্ত অবিচল দানবীয় শরীরে
নীল আকাশের বুকে
পাথুরে চুম্বন এঁকে দেয়
সপ্তম আশ্চর্যের মহা বিস্ময়!
লাল সূর্য আর নব জাগরনের
তারকা খচিত নিশান উড়িয়ে
ফিনিক্স পাখির ডানায় ভর করে
জেগে ওঠা চীনের অচিন পাহাড়ী ঢালে
প্রতিদিন প্রত্যুষে একটি গোলাপ ফোঁটে
এক পরবাসী পথিকের হাতে।
কপোলের দু ‘বিন্দু জলে
সেই রক্ত গোলাপ টলমল করে,
তোমার হেয়ালি হাসি
বারবার খেলে যায়- খেলে যায়,
অগুনতি খেয়ালী খেলা।
বুলেট ট্রেনের ইন্জিনে ভর করে
অশ্বের প্লুত গতিতে
ছুটে চলে অবিরাম বেইজিং সিয়ান।
প্রাচীন থেকে আধুনিক চীন
চোখে তার স্বপ্ন অসীম,
মাথা উচু করে দাঁড়াবার।
বজ্র গতিতে ছুটে চলা বুলেট ট্রেনের গতি
হার মেনে যায়!
গোলাপ হাতে ধ্যান মগ্ন
আবেগী মনের ঘর ছাড়া
পথহারা পরবাসী পথিকের কাছে।
পাহাড়ের গা বেঁয়ে লাল সূর্য উকি দেয়,
আবার মিলে যায়
অতন্দ্র প্রহরী সপ্তাশ্চর্যের বুকে।
ভোর বেহানে ঘুম ভাঙে চড়ুই আর
দানবীয় দোয়েলের কিচিরমিচির শব্দে ;
বাড়ে দূরত্ব স্বপ্নের মাঝে তোমার আমার!
খোয়াবের খেলা শেষ হয়ে আসে!
আবার তেজী ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
সূর্য ওঠে স্বপ্ন ভাঙে।
পাহাড়ের নিচে মেঘ কালো আধার নিয়ে
সূর্য ডোবে, স্বপ্নেরা ভীড় করে।
সবুজ পাহাড়ের বুকে স্বপ্ন ঘুমায়,
পাহাড়ি নীল পরীদের সাথে;
এক গুচ্ছ বাসি গোলাপ হাতে,
দুগ্ধশূন্য স্তনপানরত
অবোধ শিশুর মত।
কবিতাটি লিখেছেন : পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অপরাধ ) – মোল্লা আজাদ হোসেন ।