পিরোজপুর পোষ্ট ডেষ্ক : দীর্ঘ সাত বছর পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা ।এক কথায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নেতৃত্বের পালাবদলের এই সম্মেলন ঘিরে এরই মধ্যে নেতাকার্মীদের কাছে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ক্যাসিনো কান্ডের পর বিতর্কিত অনেক নেতাই এখন লাপাত্তা আর ত্যাগী নেতারা এখন মাঠে সক্রিয়।
বিশেষ সূত্রের খবর বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ আর নতুন কমিটিতে থাকছে না। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এসব কালো তালিকাভুক্ত নেতাদের তালিকা সরকারের শীর্ষ মহলে দিয়েছেন।
কাজেই আলোচনা শুরু হয়েছে কারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্লিন ইমেজের নেতা। কারা শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজের লোভ লালসা ত্যাগ করতে পারবেন। দলের জন্য অতীতের অবদান, বর্তমান কর্মকান্ড এবং সর্বপোরি দেশ রতেœর প্রতি অনুগত এমন ক্লিন ইমেজের নেতাদের খোজা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী সম্মেলনের জন্যে।
কেন্দ্রীয় আওয়মীলীগের একাধিক সূত্র জানায়, সাধারন সম্পাদক পদের জন্যে খোজা হচ্ছে ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্র নেতাদের। যারা সাংগঠনিক ও কোন রকম সিন্ডিকেটের সদস্য না। এমন নেতাদের খোঁজে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বতর্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকীব বাদশা। ১/১১ এর সময় কারাবন্দি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের সংগঠিত করেন বাদশা। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বাদশা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও কখনই ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। এমনকি তার সময়ের ছাত্রলীগ নেতারা অনেকে ব্যাংকের পরিচালক, বড় ব্যবসায়ীতে রুপান্তরিত হলো। ছাত্র রাজনীতির পর যোগ দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগে, কাজ শুরু করেন আওয়ামীলীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এ। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন সেখানেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদের কাছে আইডল ছিলেন বাদশা। সাবেক ছাত্রনেতারা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্লিন জেন্টেলম্যান বলতে যা বোঝায় বাদশা তাই।
পিরোজপুর পোষ্টকে মুঠোফোনে সাজ্জাদ সাকীব বাদশা জানান, ‘সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব সময় দলের জন্য কাজ করছি। দলের দুঃসময়ে যারা জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছেন, রাজপথে থেকেছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই যেন নেতৃত্বে আসে এটাই আমাদের চাওয়া।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী অভিযান তখনই সফল হবে যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মত শক্তিশালী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কোটি টাকার ব্যবসায়ী, কালো তালিকাভুক্ত নেতাদের সিন্ডিকেট সদস্য ও সর্বোপরি এসব কলঙ্কিত ব্যক্তি বাদ যাবে।
উল্লেখ্য, সাজ্জাদ সাকীব বাদশা পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠীর বাসিন্দা । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শোনা করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বতর্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকীব বাদশা। ১/১১ এর সময় কারাবন্দি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের সংগঠিত করেন বাদশা। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বাদশা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এ কাজ করছেন ।