নাজিরপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটার বেলুয়া নদী ও দেউলবাড়ী ইউনিয়নের খালে শীতকালে বেড়ে যায় কচুরিপানা । এসব এলাকার নদী ও খালগুলোতে আটকে থাকা কচুরিপানায় নৌযান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষের।
এসব অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌ পথ । কিন্তু ভাগ্যকে দোষারোপ করা ছাড়া যেন আর কিছু করার নেই বৈঠাকাটা , গাওখালী বাজার হয়ে মনোহারপুর সহ বিল অঞ্চলের মানুষের ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুরিপানা এমন ভাবে আটকে আছে যার ভেতর দিয়ে নৌ চলাচল একেবারেই অসম্ভব। এখানে মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম কাঁচা রাস্তাগুলোও বছরের ছয় মাস জলমগ্ন থাকে ।ফলে কৃষি পন্য সহ নৃত্য পন্য বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানে পরতে হচ্ছে একমাত্র কৃষি নির্ভর মানুষ গুলোকে।দেউলবাড়ী ইউনিয়নের বিলডুমরিয়া গ্রামের অধিকাংশ খাল কচুরিপানায় আটকে রয়েছে ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমরা কচুরিপানার কারনে অত্যান্ত জন দুর্ভোগে রয়েছি। এমন কি আমাদের সন্তানরা ও ঠিক মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না । আধুনিক সড়ক ব্যবস্তা দ্রুত উন্নত করা না হলে অর্থনৈতিক , সামাজিক, ও শিক্ষা গত দিক দিয়ে চরম ভাবে পিছিয়ে থাকতে হবে বিল অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারকে ।
সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সারোয়ার হোসাইন জানান , দেউলবাড়ী দোবড়া দুর্গম নিম্ন অঞ্চল । বিশেষ করে এখানকার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা।বছরের প্রায় সাত মাস কচুরিপানার কারনে শিক্ষার্থীরা সংকটে পরে । এ কারনে বাল্য বিবাহ ও ঝরে পড়ার শংকা বৃদ্ধি পায় ।
এ ব্যাপারে ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন , আমরা কচুরিপানা রক্ষার জন্য প্রতি খালে লোহার রড দিয়ে বেড়া দিয়ে থাকি। কিন্তু ট্রলার চলাচলের কারনে তা ছিঁড়ে গেলে কচুরিপানা ডুকে পরে সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস বলেন , সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেব , যাতে দ্রুত কচুরিপানা অপসারণে ব্যবস্থা নেন।