নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ইসলামী ষ্টেটের নামে যারা জঙ্গী হওয়ার আহবান জানায় তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। একজন আলেম যদি দেখাতে পারেন, আমার পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফে অথবা রাসূল উল্লাহর সহি হাদিসে কোথাও বলা হয়েছে জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা যায় অথবা বোমা মেরে বিচারক হত্যা করা যাবে এ রকম কোথাও বলা নাই। তাহলে এরা কার ইসলাম…? এটা ভন্ডদের ইসলাম এরা বিপদগামী ইসলাম। ওরা কোরআন হদিসের ইসলাম না। ওরা নিজেদের তৈরি করা ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুরে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ইমাম সমিতির আয়োজন জঙ্গীবাদ,উগ্রবাদ,মাদক ও সন্ত্রাসবাদসহ সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইমাম ও আলেম সমাজের করনীয় শীর্ষক মত বিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ইসলামের দাওয়াত এমন ভাবে দিতে হবে, যেন সেই দাওয়াতে যুব সমাজ জঙ্গী-সন্ত্রাসী না হয়। সব ধর্মের জন্য বর্তমান সরকার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।সবার শেষ গন্তব্য একই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য-তাহার উপরে নাই। আমরা সবাই এই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এ দেশের অন্য ধর্মালম্বীদের জান মালের হেফাজত করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
মন্ত্রী বলেন, যারা বলেছিলেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশে ইসলাম থাকবেনা, তারা জানেনা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ৭ মার্চের ভাষনের প্রতিটি কথায়ই ইনশাআল্লাহ বলেছিলেন। তিনিই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ইসলামীক ফাউন্ডেশান প্রতিষ্ঠা করেন। পীর- আউলিয়ার জন্মস্থান এ দেশ দেখতে বিশে^র বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বাংলাদেশে আসতে চায়। তাই বঙ্গবন্ধুই বিশে^র মুসলমানদের মিলনমেলার জন্য টঙ্গীর গাজীপুরে বিস্তির্ণ এলাকা তাবলিগ জমায়েতের জন্য বরাদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ তারই উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষাকে একইভুত করেছেন। আজ মাদ্রাসা থেকে পাশ করা একজন ছাত্র বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি সহ প্রশাসনের ক্যাডার সার্ভিসে অংশ গ্রহন করার যোগ্যতা রাখছে।
‘একজন ইমামের জন্য ভিক্ষুকের সাহয্য আর নয়’ বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মান করছেন। যেখানে ইমাম-মুয়াজ্জিন, কেয়ার টেকার সরকারে বেতন ভাতায় চালিত হবেন। ভন্ড ও দূর্ণীতিবাজ আলেমদের থেকে দুরে থাকর আহবান জানিয়ে মন্ত্রী পিরোজপুরকে সন্ত্রাস, মাদক ও দূর্ণীতিমুক্ত একটি দৃষ্টান্ত জেলা তৈরী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা ইসলামীক ফাউন্ডেশানএর উপ পরিচালক এ কে এম সাদ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পুলিশের বরিশাল বিভাগীয় ডি আই জি মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মো. ফারুক আব্দুল্লাহ, হাফেজ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সহশ্রাধিক ইমাম ও আলেমগন।
এর আগে সকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম জেলা জজশীপের আয়োজনে আদালত প্রাঙ্গনে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সিরিজ বোমা হামলায় ঝালকাঠীর দুই বিচারক হত্যার স্বরণ সভায় অংশ নেন।