ইন্দুরকানী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্কুল ভবন জড়াজীর্ণ হওয়ায় পত্তাশী ইউনিয়নের ২১ নং দক্ষিন কালাইয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিার্থীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। এ কারনে দিন দিন কমে যাচ্ছে শিার্থী সংখ্যা। তারপরও ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওওয়ায় ওই ভবনে এখন ভয়ে কেহ ঢুকছে না বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে শিকরা পাঠদান করাচ্ছেন।
এ বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমান ভবনটি ১৯৯৩ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্মাণ করেন। বিদ্যালয়টি একেবারে জরাজীর্ণ, ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে, দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে, প্লাষ্টার খসে পড়ছে, ফোর ভেঙ্গে গেছে এবং কয়েক স্থানে ফোর দেবে গেছে। এ অবস্থা চললেও এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তাই কর্তৃপরে নির্দেশে শ্রেণি কগুলো তালাবদ্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৭৭ জন শিার্থী থাকলেও ঝুকিপূর্ণ ভবনের কারণে শিার্থী কমে গেছে বলে শিকরা জানান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটি একেবারে জড়াজীর্ণ। শিকরা খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে পাঠদান করাচ্ছেন। নতুন ভবনের জন্য অনেকবার আবেদন করলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপ।
২১ নং দক্বিষিন কালা্দ্যইয়া সরকারী প্লরাথমিক বিদ্য়েযালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম লোকমান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় তিন চার বছর আগে থেকে এই ভবনটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পরে আছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে কয়েকবার আমার এই বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ণ তালিকার প্রথমে রেখে তালিকা প্রেরণ করা হলেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ বা সংস্কারের কোন সারা মেলেনি আজও। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে খোলা আকাশের নিচে শিার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ভবন না থাকায় দিন দিন শিার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার ৬নং পশ্চিম চাড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ নং চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫নং মধ্য কালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩১ নং পূর্ব চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০ নং পশ্চিম বালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮টি বিদ্যালয়ের ভবন একেবারে জড়াজীর্ণ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পূরবী রানী জানান, ভবনটি জড়াজীর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। পরিত্যক্ত ও ঝূকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা প্রাথমিক শিা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এই বিদ্যালয়টির নাম তালিকায় প্রথমে রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান চালিয়ে রাখার জন্য দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।