নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর লাহুরি গ্রামে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । নিহত গৃহবধূ শিরিন আক্তারকে (২৬) এর আগে কয়েকদিন ধরে নির্যাতন করে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুরী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাহুরি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে মারা যায় শিরিন।
এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মনির সরদার (৩০), শ্বশুর মোসলেম সরদার (৫৮) ও শ্বশুরী জবেদা বেগম (৫০) পলাতক রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার শিরিনের ভাই আলী খানের সাথে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রামের এক পাত্রীর সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু আলী খানের বিয়ের জন্য অন্যত্র পাত্রী ঠিক করে রেখে ছিলেন শিরিনের শ্বশুর মোসলেম সরদার। কিন্তু সেই পাত্রীকে বিয়ে না করে নিজের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করে শিরিনের ভাই আলী খান । মোসলেমের ঠিক করা পাত্রীর সাথে বিয়ে না হওয়ায় বিয়ের দিন থেকেই শ্বশুর বাড়িতে গৃহবন্দী করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে শিরিনের উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই সন্তানের জননী শিরিন মারা যায় ।
ইন্দুরকানী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মাহামুবুর রহমান জানান, গৃহবধূ শিরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। শিরিনের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুরী পলাতক রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে।