পিরোজপুর পোষ্ট ডেক্স : বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। পরিসংখ্যানের বিচারে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনিই সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। প্রায় ২০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন, তা তাকে পরিণত করেছে কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক প্রথমের শুরু যার হাত ধরে, যিনি অনেক অনেক সাফল্যের রূপকার- সেই মাশরাফি বিন মর্তুজার আজ ৩৬তম জন্মদিন। একে একে ৩৬টি বসন্ত পার করে শুরু করলেন ৩৭তমটি। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে জন্ম, বেড়ে ওঠা চিত্রা নদীর পাড়েই। সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় ২০১৪ সালের একইদিনে অর্থাৎ ৫ অক্টোবর তারিখেই পৃথিবীর বুকে এসেছেন মাশরাফির দ্বিতীয় সন্তান পুত্র সাহিল মর্তুজা। ফলে আজ মাশরাফিপুত্র সাহিলের ৫ম জন্মদিন। অধিনায়কত্বের বাইরে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ মাশরাফির। এখনও পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ২১৭ ম্যাচে তার শিকার ২৬৬ উইকেট, ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার, ৪ উইকেট সাতবার। এছাড়া ব্যাট হাতেও ওয়ানডে ক্রিকেটে রয়েছে ১৭৮৬ রান।
তার অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পৌঁছেছে সেমিফাইনালে আর ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে হয়েছিল রানার্সআপ।এছাড়া চলতি বছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপাও জিতেছেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোকে হারানো। শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে কোনো সিরিজ না হেরে দেশে ফেরার সাফল্যের দেখাও মিলেছে মাশরাফির অধিনায়কত্বে। কখনোই দেশের ক্রিকেট ইতিহাস থেকে কখনোই মুছবে না মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটার অনেক সাফল্যের রুপকার মাশরাফি হয়ে থাকবেন ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তার অধীনে বাংলাদেশ দল ৮৫টি ওয়ানডে খেলে জিতেছে ৪৭টিতে, যা কি না দেশের ইতিহাসে যেকোনো অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে ২৮ ম্যাচে ১০ জয় নিয়েও বাংলাদেশের অন্যান্য অধিনায়কদের চেয়ে ওপরেই অবস্থান করছেন তিনি। এছাড়া ২০০৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচেও জিতেছিল বাংলাদেশ দল। সে ম্যাচের পর ইনজুরির কারণে আর সাদা পোশাকে খেলতে পারেননি দেশের ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ অধিনায়ক।